শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১১

ঊনগোছালো

আমার ইচ্ছেগুলো ভীষণ পাজি
স্বপ্নগুলো সুধীর,
বুকপকেটে কাব্য গুঁজে
খুঁজেই চলি অধীর;
আমার আকাশ সমান ভাবনাগুলো
অদ্ভুতুড়ে বিলাস,
রিক্ত হাতে সিক্ত শিশির
সূর্য করি তালাশ;
আমার মেঘের ভাঁজে গল্প রাখা
বলব আমার তাকে,
গল্পদেশের জোনাকতারা
জ্বলবে চুলের ফাঁকে!


আমার মন খারাপের প্রহরগুলো
একলা সুখেই কাটে,
ভুল গোলাপের পাপড়িদলে
অশ্রুনিনাদ ফাটে;
আমার মন ভালোতেই সুখের বিলাপ
মুকুটবিহীন রাজা,
চোখের নীলে নৈদী তুফান
শুদ্ধ সবুজ তাজা;
আমার ঊনগোছালো জীবনখাতায়
মৌনী রঙের ছবি,
আমার অবাক হবার প্রতুল নেশা
নই বিষাদের কবি!

ডাক দিয়ে যায় দখিন হাওয়ায়

ডাক শুনে যায়
দখিন হাওয়ায়
যাচ্ছে সময়
উষ্ণ ডানায়
ডানার অসুখ
ভুল পরিণয়
সময় সুরে
নতুন প্রণয়


ইচ্ছেডানা
কাব্যগাঁথা
গল্পজীবন
নিত্যকথা
পংখিরাজে
উড়ছে স্মৃতি
ছুটছি পিছু
অন্ধ প্রীতি


অতীত কাঁদায়
অতীত হাসায়
জীবন প্রদীপ
নিভছে রোজই
ডাক শুনে আয়
উড়াই নিশান
বাঁচার মতো
গাইব রে গান!

ঘুমন্ত স্বপ্নেরা

ঘুম চাই স্বপ্ন সমান
বিপন্ন উদভ্রান্তের মতো জেগে থেকে
চেতনার ব্যবচ্ছেদে বিলাপের সুর নয়
এসময় নির্বোধ হবার, জ্ঞানপাপী নয়
ঘুমপ্রহরে কেঁপে উঠুক বিদগ্ধ জাগরণ
ভ্রুণের আত্মায় নড়ে উঠুক স্বপ্নপাহাড়
আমাদের দিনগুলো হয়ে যাক হিরণ্ময়
আমাদের নামগুলো মিশে যাক ইতিহাসে
আমাদের চাওয়াগুলো হয়ে থাক বজ্রপ্রপাত
ঘুম ভেঙ্গে পার হব চোরাবালি, বিপ্রতীপ দাহকাল!

শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১১

আস্থা রাখিস শেকড় সমান

বাঁচবি কি তুই নতশিরে?
কাটবে সময় অলস ঘুমে!
করবি কি তুই আঁধার রোপণ?
খুঁজবি পথে হারিয়ে স্বপন!
জাগবি কবে আগুন ক্রোধে?
হানবি আঘাত খুনের শোধে!


ভুলেই গেছিস ত্যাগ ইতিহাস
ভুলেই গেছিস কণ্ঠকাঁপন!
অবক্ষয়ের কোন পাতাতে
ধরবি কলম আত্মদহন!
গড়বি কবে খুব প্রতিরোধ?
ভাঙবি আগল দীপ্ত সুবোধ!


অন্ধ থাকিস মাটির টানে
জিৎচেতনা থাকুক প্রাণে,
জেগেই থাকিস ধরিস নিশান
আস্থা রাখিস শেকর সমান
রুখবি কবে ভীষণ বিনাশ?
এমনি যদি ঘুমেই কাটাস!

প্রতিফলন

আয়নায় চেনা ছবি; কে তুমি?
প্রশ্নের উত্তর ফিরে আসে প্রশ্নেই।
অযুত অনুভূতি, এলোমেলো
ঋজু বিশ্বাসের প্রাচুর্য,
অনাহূত সংশয়ে কেঁপে উঠি, অপরিণত
মৃদু গুঞ্জনে টলে ওঠে প্রত্যয়;
তবু বুকে হাত রেখে এখনও বলতে পারি
একটুও খাঁদ ছিল না চেনা আস্থায়,
আমাতেই ছিলাম আমি, কতটুকু থাকা চাই!
মাঝরাতে দেয়ালে ছায়া সরে যায়
নিয়ন আলোয় কে যেন হেঁটে যায় পাশে!
নীল ছায়া কেঁপে ওঠে রূপার রোদে,
কার? আমার, তোমার অথবা...!
কোন্‌ প্রেম এঁকে থাকে ভিখিরির চাহনীতে?
লালছাপ পতাকায় ভেসে ওঠে কার মুখ?
কোন্‌ ক্রোধ সেঁটে থাকে পথশিশু-পাঁজরে?
নন্দন কবিতায় খুঁজে ফেরে কার চোখ?
আমি কি? অথবা তুমি সেখানে?
এ আমার জীবন অথবা সম্মিলিত
আমাদের কেঁদে ওঠা, আমাদের বাঁচা
যদি যন্ত্রণা বিলাতে পার-
ভাল থাকাগুলো কেন আমার নয়?

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১১

সুখের বিষাদ

পদচিহ্ন এঁকে দিয়ে-
বেড়ে ওঠে গল্পকাব্য, বুকে নিয়ে
প্রত্যয় কিবা আনাড়ি ছন্দশৈলী;
সময়কে প্রশ্ন করি রোজ,
কেন হারিয়ে যায় তাজা শৈশব?
কেন স্মৃতিঘরে আলো জ্বলে নীল?
কেন শব্দের ফাঁকে লুকায় দীর্ঘশ্বাস?
নিরুত্তর সময়ের ঠোঁটে বিদ্রূপ
অথবা নির্বিকার হেঁটে যাওয়া তার
অথবা জানা নেই উত্তর কিছুই;
নিয়তির হাতে সপে দিয়ে ইতিহাস
মুক্তির নেশায় ছোটা বিরতির ওপার।
হাসি কান্নায় বুনে চলা জীবন
থেমেও থেমে যাওয়ার নেই তার ফুরসৎ,
আনন্দ আজলা করে চেয়ে থাকা মুগ্ধতায়
এইতো বিষাদের সুখ, এইতো জীবন সুন্দর!